নিউজিল্যান্ডে হামলা

স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন পারভীন

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৬ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪৪

ব্যুরো প্রধান, সিলেট

অসুস্থ স্বামীকে বাঁচাতে গিয়েই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন। তবে হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তার অসুস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

এ হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজন হুসনে আরা পারভীন। তার বাবার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। স্বামী  ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে।

হুসনে আরার ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী জানান, ‘ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে। একটি মসজিদে নারীরা ও অন্যটিতে পুরুষরা নামাজ আদায় করেন। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা আগে তার খালা হুসনে আরা অসুস্থ স্বামীকে (প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত) নিয়ে মসজিদে যান। সেখানে খালা তার স্বামীকে হুইল চেয়ার করে পুরুষদের মসজিদে রেখে নিজে নারীদের মসজিদে চলে যান।’

মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’

সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ বর্তমানে ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় স্বজনের সঙ্গে তার বাসায় রয়েছেন।  

তিনি জানান, ‘নিউজিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিহত পারভীনের মরদেহ এখনও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে পারভীনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিউজিল্যান্ডে অবস্থানকারী তার স্বজনদের জানানো হয়েছে।’

নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী আত্মীয়দের বরাত দিয়ে মাহফুজ চৌধুরী জানান, ‘মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।’ 

নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী নিহত পারভীনের ভাবি হিমা বেগম ঘটনার পর টেলিফোনে সিলেটে থাকা পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান।

নিহত পারভীন ও ফরিদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে চলে যান। ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/এলএ)