এবারও দেশজয়ের স্বপ্ন ফরিদপুরের ‘কালো সোনা’ র

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০১৯, ০৮:২৮

সারাদেশের পেঁয়াজের বীজের চাহিদার ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে ফরিদপুর জেলা। প্রতি বছরের মত এ বছরও সেই চাহিদা পূরণে প্রস্তুত হচ্ছে জেলার কৃষকের মাঠ।

কৃষকদের আশা, এ বছরও বাম্পার ফলনে ১১ মেট্রিকটনেরও বেশি পেঁয়াজবীজ উৎপাদন করতে পারবেন। তবে তারা বলছেন, যদি সরকারি হস্তক্ষেপে ন্যায্যমূল্য মেলে, তবেই এ স্বপ্ন পূরণ হবে।

ফরিদপুরের পেঁয়াজবীজের খ্যাতি দেশব্যাপী। এই সুখ্যাতি অর্জন সম্ভব হয়েছে জেলার নয়টির মধ্যে সদর, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সদরপুর, আলফাডাঙ্গা- এই পাঁচটি উপজেলার কৃষকদের জন্য। তারা এই বীজকে ‘কালো সোনা’ হিসাবে তুলনা করেন। কারণ, এর চাষাবাদে অনেক বেকার যুবকই এখন স্বাবলম্বী।

সরেজমিনে গিয়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠের পর মাঠজুড়ে পেঁয়াজ ফলানোর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়েছে। তাহিরপুরী, ফরিদপুরী, বারী-১, লাল তীর কিং বীজ থেকে লাগানো এই পেঁয়াজ আবারো মাঠ থেকে বীজ হয়ে কৃষকের ঘরে আসবে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই।

চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে এক হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজবীজের চাষাবাদ করা হয়েছে। কম খরচে এবং অল্প সময়ে লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আবাদ হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মো. বক্তার হোসেন খান বলেন, ‘এই বছর বিশ বিঘা জমিতে পেঁয়াজবীজের চাষ করছি। ক্ষেত খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি, ভালো মানের বীজ পাবো।’

একই গ্রামের জলিল মোল্লা বলেন, ‘এই অঞ্চলের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করে। কিন্তু বিএডিসি এবার আগের মতো সংগ্রহ করবে না বলে জানিয়েছে। উৎপাদিত পেঁয়াজবীজ ন্যায্যমূল্যে বিএডিসির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

এই বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও সোহরাব হোসেন মন্ডল বলেন, ‘বিএডিসি ও বিভিন্ন ব্যাংক আরো বেশি সহায়তা করলে এ অঞ্চলের মানুষও আরো বেশি বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। এতে সরকারকে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজবীজ আমদানিতে নির্ভর করতে হবে না।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ‘ফরিদপুর অঞ্চলের কালো সোনা খ্যাত বীজ দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জেলার বেকার যুবকদের আরো বেশি করে এ চাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

আর ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার বলছেন, এই বীজ চাষে বেকার যুবকদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :