১১৭ উপজেলায় প্রচারণা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার মধ্যরাতে। সোমবার দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে নামছে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরেও দুই দিন মাঠে থাকবেন তারা। একই সঙ্গে ১১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। আজ থেকে তারাও মাঠে নামবেন।

সোমবার ১২৯ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয় উপজেলায় ভোটের দরকার হচ্ছে না। আর ছয় উপজেলার ভোটের তারিখ পেছানো হয়েছে। সে হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট হবে সোমবার।

এ ধাপে তিনটি পদে ইতোমধ্যে ৪৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১২ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১১ জন সংরক্ষিত পদের ভাইস চেয়ারম্যান।

রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল এবং নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ইসি সচিবালয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আগামী রবিবার ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটানিং ও সহকারী রিটানিং অফিসারদের দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। ভোটে অনিয়ম হলে সেই দায় রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের দিন ওইসব এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে জরুরি ও অনুমোদিত বাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। একইসঙ্গে জাতীয় মহাসড়কে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।

ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর যাচাই-বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল।

ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এমআর