বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৮ পয়েন্টে চাঁদাবাজি: তদন্ত প্রতিবেদন
পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আটটি পয়েন্টে ব্যাপক ও বেপরোয়া চাঁদাবাজি হয় বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় সম্প্রতি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) হাবিবুর রহমানের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পায়।
জানা যায়, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বুড়িমারী স্থলবন্দরে বেপরোয়া চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ করেন। তাতে বুড়িমারী স্থলবন্দরের চাঁদাবাজি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
গত ১২ মার্চ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে কাস্টমস অফিস, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ, বন্দর অফিস, পুলিশের বিভিন্ন দপ্তর, লেবার শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন, দালাল অফিস, স্থানীয় বাবুল গ্রুপের ট্রাক টার্মিনাল ও বাবুল গ্রুপ জিরো পয়েন্টে চাঁদাবাজির তথ্য উঠে আসে।
ওই আট পয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়া যায় পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়াম লীগের সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল গ্রুপের ট্রাক টার্মিনাল ও জিরো পয়েন্টে।
বন্দরসূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চাঁদাবজি নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই তদন্ত প্রতিবেদন এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে বলে জানান সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় চাঁদাবাজি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভয়াবহ চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ী, ট্রাকমালিক ও শ্রমিকরা অতিষ্ঠ। তদন্তে চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়া গেছে।’ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত বুড়িমারী স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে বলে আশা করেন তিনি।
চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল দাবি করেন তার বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ সত্য নয়। বুড়িমারী স্থলবন্দরে কোনো চাঁদাবাজি হয় না।
তবে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা ওই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/মোআ)