আনসারুল্লাহর দুই সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)।

শনিবার ভোর ৬টায় নরসিংদী জেলার পলাশ থানাধীন পলাশ থেকে এলাকা থেকে ওই দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ সহ উদ্রাবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয় জানিয়েছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ওরফে সৌরভ ও মাহাদী হাসান ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দীন শনিবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব-১১ জানায়, র‌্যাব-১১ এর একটি দল শনিবার ভোর পৌনে ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত নরসিংদী জেলার পলাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এর সক্রিয় সদস্য কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ল্যাপটপসহ বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই ও জঙ্গিবাদী লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন ওরফে সৗরভ ২০০৯ সালে মনোহরদীর শাহাবউদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমি থেকে এসএসসি, ২০১১ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১৫ সালে মিরপুরের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে ম্যাক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। ২০১৬ সাল হতে নরসিংদীর পলাশে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছে। সে ২০১৩ সালে অধ্যয়নরত অবস্থায় জসিম উদ্দীন রাহমানির লেকচার শুনে উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন।

র‌্যাব জানায়, মূলতঃ ২০১৪ সালের দিকে সে ফেসবুকে আফগানিস্থান ও সিরিয়াসহ মুসলমানদের উপর বিভিন্ন হামলার চিত্র দেখে তার মধ্যে উগ্রবাদী চেতনা আরো বেশি প্রকট হয়। পরবর্তিতে কথিত বড়ভাই এর মাধ্যমে ২০১৬ সালে আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহহ বাংলা টিম) এ যোগদান করে।

সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অসংখ্য ভুয়া ফেসবুক আইডি, টেলিগ্রাম, প্রটেকটেড টেক্সট, টর ব্রাউজার ইত্যাদি এ্যাপস্ ব্যবহার করত। সে অনলাইনে আনোয়ার আল আওলাকি, আব্দুল্লাহ আয্যাম, জসিম উদ্দীন রাহমানিসহ বিশে¡র বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখকদের লেখাগুলো সম্পর্কে ব্যাপক স্টাডি করে নিজেই উগ্রবাদী নোটশিট তৈরি করে তার নিজস্ব কম্পিউটার ও প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে সংগঠনের সদস্যদের কাছে বিতরণ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান।

এছাড়াও তার নেতৃত্বে নরসিংদীর পলাশে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হত সেখানে মিলিত হওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠনের সদস্যরা আসতেন। তার মাধ্যমে মাহাদী হাসা ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ গত ৪ মাস আগে আনসার আল ইসলামে যোগদান করেন। রাশেদ মূলত আনসার আল ইসলামের দাওয়াত পাওয়ার পরে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার ও দাওয়াতি কাজ করতে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/ইএস