জামানত ফেরত চাইলে দেয়া হতো টেলিভিশন ও ডিনার সেট

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ২০:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ। জামানত হিসেবে নেয়া হতো ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। চাকরিপ্রত্যাশীদের থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতারণার শিকার কেউ প্রতিবাদ করলে ধরিয়ে দেওয়া হতো একটি টেলিভিশন ও ডিনার সেট।

শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

তারা হলেন শাহানুর মিয়া, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান খান, নজরুল ইসলাম, হায়দার কবির মিথুন। তাদের কাছ থেকে নগদ নয় লাখ ৬৯ হাজার টাকা, ১২টি মোবাইল ফোন ও একটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) এএসপি মো. সালাউদ্দিন।

এএসপি সালাউদ্দিন বলেন, ‘দেশে নিষিদ্ধ বেশ কয়েকটি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। অভিযানে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রা. লি. নামে একটি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের বৈধ কোনো নিবন্ধন নেই। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের পরিচয় দিতো। অবসরপ্রাপ্ত অনেকে কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। যারা গ্রাম থেকে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের ভালো বেতন, পেনশন সুবিধা ও থাকা খাওয়া ফ্রি বলে ঢাকায় নিয়ে আসতো। ভাইভা শেষে চাকরি নিশ্চিত হয়েছে বলে জামানত হিসেবে ৫০ হাজার টাকা নেয়া হতো। পরে অফিসিয়াল বিভিন্ন কাগজপত্র ও খালি স্ট্যাম্পে সই করানো হতো।’

‘পনের দিনের প্রশিক্ষণের নামে শেখানো হতো প্রতারণার কৌশল। প্রশিক্ষণের ওই কদিন তাদের মোবাইল ফোন দেওয়া হতো না এবং বিশেষ নজরদারিতে রাখা হতো। যাতে কোনো তথ্য বাইরে পাচার না হয়। লোভে পরে চক্রের সঙ্গে থেকে যেত। আবার অনেকে জামানত ফেরত চাইলে তাদের দেওয়া হতো একটি টেলিভিশন ও একটি ডিনার। যার বাজার মূল্য ১৫ থেকে ১৮ হাজার মধ্যে।’

এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এসএস/জেবি)