‘বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমার্থক’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৪

প্রতি বছরের মতো এবারও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠন গৌরব ’৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

রবিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুল তলায় তিনটি বিভাগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগগুলো হলো- বিভাগ (ক) অনুর্ধ ৩য় শ্রেণি, বিষয়: যেকোনো বিষয়। বিভাগ (খ) ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি, বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ। বিভাগ (গ) ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণি, বিষয় ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন তিনজন চিত্রশিল্পী। তারা হলেন-কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, আশিক রণো এবং ফাল্গুনি তন্বি।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন,কর কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, তুরিন আফরোজসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরব ‘৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গৌরব ‘৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ সমার্থক। বিশ্বে যারা বাংলাদেশকে চিনে না, তারাও কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে চিনে। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।

অভিভাবকের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা আপনারা সন্তানদের বোঝাবেন। দেশপ্রেমের প্রতি তাদের এখন থেকে উদ্বুদ্ধ করবেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মানেই বাংলাদেশের জন্মদিন। গৌরব ‘৭১ এই আয়োজন করে জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বড় বড় ডিগ্রি হলে শুধু প্রকৃত মানুষ হওয়া যায় না। প্রকৃত মানুষ হতে হলে সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হতে হবে। এ আয়োজনটির সাথে যাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যুক্ত হয়, সে ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অমর করে রাখার জন্য এ চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা। শিশুরা এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানবে, তার অবদান সম্পর্কে জানবে।

তুরিন আফরোজ অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনান? উত্তরে অভিভাবকরা শোনান বলে জবাব দেন। শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব রংয়ের মধ্যে লাল ও সবুজ বেশি আনন্দ দেয়, তাই না? জবাবে শিশুরা হ্যাঁ বলে উত্তর দেয় তখন তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় পতাকার রং লাল ও সবুজ। এজন্য এই দুটি রং আমাদের আলাদাভাবে আকর্ষণ করে। এ সময় তিনি শিশুদের জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ধারণ করার উদাত্ত আহবান জানান।

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জন্মদিন শিশু কিশোরদের সাথে কাটাতেন। তাই এদিনকে জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা যেমন সত্য, একইভাবে এ মানুষটার জন্মের কারণে বাংলাদেশ হয়েছে এটাও সত্য।

শিশু কিশোরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু সমাজের অসঙ্গতি নিয়ে ভাবতেন, প্রতিবাদ করতেন। তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

গৌরব ৭১ সংগঠনের নামকরণের যথার্থতা বর্ণনা করে সানজিদা বলেন, গৌরব ৭১ নামের মধ্যে আমরা আমাদের ঐতিহ্য খুঁজে পাই। এ আয়োজনের জন্য তিনি গৌরব ‘৭১ কে অসংখ্যা ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি ক্যাটাগরিতে ৩০ জনের নাম নাম ঘোষণা করা হয়।

এরপর অতিথিরা তাদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। প্রত্যেক বিভাগের ১ম তিনজনের জন্য ক্রেস্টসহ উপহারসামগ্রী ছিল। বাকিদের জন্য সার্টিফিকেট, মুক্তিযুদ্ধের বই ও উপহারসামগ্রী ছিল।

উল্লেখ্য, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধের বই ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এছাড়া প্রতিবন্ধী প্রতিযোগীদের জন্য আলাদা পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :