ক্রাইস্টচার্চ হামলা
নিউজিল্যান্ডে অস্ত্র আইন সংস্কারে বসছে মন্ত্রিসভা
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে জরুরি ভিত্তিতে পরিবর্তনের জন্য সোমবার বৈঠকে বসছে দেশটির মন্ত্রিসভা। শুক্রবারে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে।
শুক্রবার দুটি মসজিদে খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্টের হামলায় ৫০ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। একটি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায় ওই সন্ত্রাসী। হামলাকারী যে ধরনের সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, আশা করা হচ্ছে, দেশটির মন্ত্রী পরিষদ সে ধরনের অস্ত্রের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, টারান্টের অস্ত্রটি বৈধ, যে কারণে তার গুলি কিনতেও অসুবিধা হয়নি।
সেদিনই বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর আগে কয়েকবারই অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতে চাইলেও সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই ভয়াবহ ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শুক্রবারের হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করলেও এখনও পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার নাগাদ পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবার কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্টের দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেখানকার পুলিশ। পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় টারান্ট জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন। এপ্রিলের পাঁচ তারিখে টারান্টকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ব্রেন্টন টারান্টকে 'উগ্র দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হামলার সময় মাথায় ক্যামেরা লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করছিলেন ব্রেন্টন। সেই ভয়াবহ হামলার ভিডিও সরিয়ে ফেলতে এবং প্রচার না করতে নির্দেশ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
ঢাকা টাইমস/১৮মার্চ/একে