বঙ্গবন্ধু শিশু রোবটিক্স উৎসব উদযাপিত

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১০:১২

মঞ্চে মানবাকৃতির বাংলাদেশি রোবট ‘নিনো’ । গানের তালে তালে সেটি দুই হাত পা দুলিয়ে নৃত্যরত। তার সামনে একদল ছেলেমেয়ে তাকে অনুকরণ করছে। আর সেখান থেকে বাছাই করে তিনজন হয়েছে বিজয়ী। জাতীয় শিশু দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোবহানবাগ ক্যাম্পাসে হয়ে যাওয়া ‘বঙ্গবন্ধু শিশু রোবটিক্স উৎসব ২০১৯’ শেষ পর্বে এমনটা করেছে অংশগ্রহণকারীরা।

এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী মেতে উঠেছিল এক অন্যরকম আয়োজনে।

স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং দিয়ে গেম বানানো, নিজের রোবট নিজে বানানো, মোবাইল ফোন দিয়ে সাপ-রোবটকে আঁকাবাকা পথে চালনা করা, রোবটিক্স ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন সমাধানের আইডিয়া প্রদান। এমন সব প্রতিযোগিতার পাশাপাশি দিনভর তারা রোবটিক্সের জগত নিয়ে নানা আনন্দ আয়োজনে যুক্ত হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট দুইজনের বয়স ছিল মাত্র ৬ বছর।

শিশুদের এই আনন্দ উদযাপনে বিকেলে সঙ্গী হোন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।

এ সময় তিনি খুদে রোবট অনুরাগীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য ছোটবেলা থেকে নতুন নতুন প্রযুক্তিকে করায়ত্ব করতে হবে।’

আগামী দিনগুলোতে এমন আয়োজনে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন দিন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পরিচালক শহিদ-উল-মুনির, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ইউসুফ মাহবুবুল ইসমলাম, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমূখ।

এর আগে সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন ডেটাসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লাফিফা জামাল।

কৃষি জমির আর্দ্রতা পরিমাপ করে সেটাকে কৃষিকাজের উপযুক্ত করবে চিটাগাং গ্রামার স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া কাজী মোস্তাহিদ লাবিব এর ‘বেঙ্গল অ্যার্গোবোট’ ।

তার এই রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফসলকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করবে এবং অধিক ফলনের নিশ্চয়তা দেবে। এছাড়াও একই স্কুলের তাফসিরের ‘রোবো হোম’ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখা,লাইট চালানোর পাশাপাশি সাহায্য করবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে।

মাহাদি আলম মাসফি দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে তৈরী করেছে ‘সেভিয়র ড্রোন’ যা কিনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

প্রতিযোগিতায় আসা শিশুদের বাবা মায়েদের মধ্যেও উৎসাহের কোনো কমতি ছিল না। শিশুদের সঙ্গে তারাও মেতে থাকেন সারাটা দিন।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা