তৃণমূল সাংসদের নিরাপত্তা ব্যারিকেড খুললেন বিজেপির বাবুল

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:২৪

ভোটের সময় নেতা-নেত্রীরা গ্রাম গ্রামান্তরে ছুটে বেড়ান। তাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয় পুলিশকে। কিন্তু সেই নিরাপত্তার নামে বাড়াবাড়ির অভিযোগও নতুন নয়। সে রকমই এক অভিযোগ তুললেন বলিউড গায়ক ও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তার নিশানায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বর্ধমান জেলা পুলিশ।

বাবুলের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলে প্রায় দুইঘণ্টা আগে থেকে জাতীয় সড়কের দুইপাশে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। বাবুলের দাবি, সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে তিনি ওই দড়ি ফেলে দিতে বলেন পুলিশকে। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের দাবি করে, এটা রুটিন ব্যারিকেড।

কলকাতা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আসানসোলের দিকে যাওয়ার পথে বাস হোক বা গাড়ি, বর্ধমানের শক্তিগড়ে দাঁড়াবেই। বিখ্যাত ল্যাংচা তো রয়েছেই, সঙ্গে হালকা খাওয়া-দাওয়া, চা পানের জন্য যাত্রাপথে শক্তিগড়ে সাময়িক বিরতি নেন প্রায় সবাই। ফলে লোকজনের ভিড়ে প্রায় সারা দিনই সরগরম থাকে এই এলাকা। এহেন শক্তিগড়েই সোমবার সকাল থেকে অন্য ছবি। ব্যস্ত রাস্তায় দড়ি ধরে রেখেছেন পুলিশ।

সোমবার সকালে ওই রাস্তা ধরেই কলকাতা থেকে নিজ কেন্দ্র আসানসোলে যাচ্ছিলেন বাবুল। তিনি জানান, চা পানের জন্য গাড়ি থেকে শক্তিগড়ে নামেন। পরে দেখেন রাস্তার ধারে এমন জায়গায় দড়ি ধরে রেখেছে পুলিশ, যেখানে সাধারণ মানুষ বাস-গাড়ি থেকে নেমে খাওয়া দাওয়া করেন।

বাবুলের দাবি, ‘পুলিশকে জিজ্ঞেস করতেই জানায় ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট আছে’। কে সেই ভিভিআইপি, আমি জানতে চাই। তখন পুলিশকর্মীরা আমতা আমতা করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুইঘণ্টা পর এখান দিয়ে যাবেন।’

জনপ্রিয় গায়ক ও সাংসদ বলেন, ‘পুলিশ যেভাবে আমতা আমতা করে জবাব দিল, তাতেই স্পষ্ট, বিষয়টা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। তা তারা নিজেরাও বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু ওদের কিছু করার নেই।’ এই ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন বাবুল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বাবুলের ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা কম হয়নি। সেই প্রসঙ্গও টেনে গায়ক বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে যখন ঝালমুড়ি খেতে গিয়েছি, তখনও দেখেছি, উনি একটি সাধারণ গাড়ি নিয়ে ঘোরেন। আশপাশ থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেন। পিসির কাছ থেকে অভিষেকের অন্তত এইটুকু শেখা উচিত।’

এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘শক্তিগড় এলাকাটি যথেষ্ট দুর্ঘটনাপ্রবণ। সেখানে ভিভিআইপি যাতায়াতের সময় হঠাৎ করে কেউ যাতে নেমে না পড়েন, বা কোনো গাড়ি যাতে এলোমেলো চলাচল না করে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয়া হয়, এটা রুটিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী করেছেন, সেটা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’ সূত্র: আনন্দবাজার

ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :