দ্বিতীয় দফায় ১১৬ উপজেলায় নিরুত্তাপ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৭:৫৭ | প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৭:১৬

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও একই চিত্র দেখা গেছে। সোমবার ১১৬টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত ভোটে তেমন আগ্রহ ছিল না ভোটারদের। কিছু জায়গায় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেলেও ভোটের পরিবেশ ছিল নিরুত্তাপ। ভোটারদের উপস্থিতি না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও ছিল না তেমন ব্যস্ততা। অনেককে খোশগল্প করে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

ভোট কারচুপির অভিযোগে মৌলভীবাজারে নৌকার প্রার্থীর ভোট বর্জন এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিজে জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা বেশ আলোচিত হচ্ছে।

সোমবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা। সন্ধ্যা নাগাদ ফলাফল আসতে শুরু করবে।

আজ ১১৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট নেওয়া হয়।

এই দফায় ১২৯ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয় উপজেলায় ভোটের দরকার হয়নি। সাত উপজেলার ভোটের তারিখ পেছানো হয়েছে। সে হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ভোট হচ্ছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বিএনপি নেতারাও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিভিন্ন স্থানে প্রার্থী হয়েছেন।

বড় দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় এবারের উপজেলার ভোটে তেমন উত্তাপ নেই। ভোটারদেরও ভোট প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ কম। প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত ৭৮ উপজেলার নির্বাচনে অনেক জায়গায় কেন্দ্র ফাঁকা থাকতে দেখা যায়। যদিও নির্বাচন কমিশন পরে জানিয়েছে সেই ভোটে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে তিনটি পদে ইতিমধ্যে ৪৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১২ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১১ জন সংরক্ষিত পদের ভাইস চেয়ারম্যান।

তবে নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেজন্য নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি কমিশনাররা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ভোট কারচুপি করতে এলে গুলি করারও নির্দেশনা ছিল। তবে তাদের সব আশ্বাস ও প্রস্তুতিকে খুব বেশি আমলে নেয়নি ভোটাররা। যে কারণে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে এমনটা আশা করলেও সেই আশা তেমন পূরণ হয়নি।

নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর যাচাই-বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :