লক্ষ্মীপুরে ১৮ জেলেকে জেল-জরিমানা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরার অপরাধে লক্ষ্মীপুরে ১৮ জেলেকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা মুস্তফা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের জেল জরিমানা করেন।
এর আগে মজুচৌধুরীরহাটের মেঘনা নদীতে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন, কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার কাসেম মাঝির ছেলে সাহাবুদ্দিন, মিলন মাঝির ছেলে নুর সোলায়মান, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে হোসেন আহমদ ও সিদ্দিক পাটওয়ারীর ছেলে আবু ছায়েদ।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা মুস্তফা জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী চার জেলেকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৪ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/ওআর