৩১৭ স্থাপনা উচ্ছেদ, দুই একর জায়গা অবমুক্ত

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ১৯:২৫ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ১৯:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ১৯তম দিনে নদীর তীরভূমি দখল করে গড়ে তোলা ছোট-বড় মিলিয়ে ৩১৭টি  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বেদখল আরও দুই একর জায়গা, যা নদী ভরাট করে দখল করা হয়েছিল।

বিআইডাব্লিউটিএ জানায়, মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনে গাবতলী ও আমিন বাজার ব্রিজ থেকে মিরপুর জহুরাবাদ পর্যন্ত নদীর উভয় তীরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুটি দোতলা ভবন, ১৫টি এক তলা ভবন, ১৪টি সীমানা প্রাচীর, ৩৬টি আধাপাকা স্থাপনা ও ২৫০টি  টংদোকানসহ মোট ৩১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও নদী তীরভূমির দুই একর জায়গা, যা ভূমিদস্যুদের দখলে ছিল তা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

আরিফ জানান, বুধবার সকাল ৯টায় তুরাগ নদের তীরে মিরপুর বেড়িবাঁধ, জহুরাবাদ এলাকা থেকে দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয়  দিনের অভিযান শুরু হবে।

এর আগে প্রথম পর্বে ১২ কার্যদিবসে মোট এক হাজার ৭২১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডাব্লিটিএ। এরপর ১২ কার্যদিবসে দ্বিতীয় পর্বের উচ্ছেদ অভিযান হাতে নেয় সংস্থাটি। ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শেষে পুনরায় ১২ কার্যদিবসে চলবে তৃতীয় পর্বের অভিযান। 

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্থার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্য নদীকে ফিরিয়ে দিতে নদীতে ড্রেজিং  করার কথা জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প  হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। এরমধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/কারই/জেবি)