বঙ্গবন্ধুর সব ভাষণ নিয়ে গবেষণার তাগিদ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৩ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৪

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘মানবিক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তেব্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এম পি বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য দরদ ও মানবিকতা শুধু তার ভাষণে নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের মানুষের নিকট মুক্তির জন্য মানবিক আবেদন করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি জীবদ্দশায় সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সহায়ক ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশকে নিয়ে সেই অগ্রগতির চাকাকে থামিয়ে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে। ৭৫’ পরবর্তী থেকে শুরু করে ৯৬’ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দেশের প্রগতি ও উন্নতির চাকাকে পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আরোহন করার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে নিজেকে মনোনিবেশ করেন।

‘বর্তমানে আমাদের দেশ বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান, কর্মসংস্থানসহ অনেক কিছুতেই এগিয়ে গিয়েছে।’
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমরা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম’ বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বাঙালি জাতির মহামানব বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাকে আমরা আরো ভালোভাবে আবিষ্কার করতে পারতাম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে খ-িতভাবে উপস্থাপন করা হয়। ৭ই মার্চের ভাষণ অবিস্মরণীয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য ভাষণগুলো আরো ভালোভাবে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বেশি ধারণ করতে সক্ষম হব।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের নানা সমস্যার সমাধান রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য ভাষণগুলোতেও। তাই আমাদের জাতীয় সমস্যা সমাধানে তার ভাষণ বিশ্লেষণ করে ফলপ্রসু সমাধান লাভ করা সম্ভব।’
এ সময় ড. মীজানুর রহমান বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময় দেয়া ভাষণগুলো নিয়ে বেশি করে গবেষণার এবং জ্ঞান চর্চার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, কলামিস্ট আব্দুল বাকী চৌধুরী নওয়াব, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফয়সাল আহসানউল্লাহ এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বক্তব্য প্রদান করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কলামিস্টগণ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/আইএইচ/ইএস)