মোটরসাইকেলের লাইসেন্সে বাস চালাতেন সেই চালক!

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৯, ১৫:০৬ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯, ১৬:১২

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে সুপ্রভাত পরিবহনের যে বাসটি চাপা দিয়েছিল সেই বাসের চালকের লাইসেন্স ছিল না। তিনি মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে বাস চালাতেন। তাকে আটকের পর এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পরপরই চালককে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে চালক সিরাজুলের বাস (ভারীযান) চালানোর লাইসেন্স ছিল না। মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে তিনি বাস চালাতেন। এই লাইসেন্সে কীভাবে তিনি কোম্পানি (সুপ্রভাত) থেকে বাস নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন সেটা তদন্ত করা হচ্ছে। কারণ মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স দিয়ে কেউ রাস্তায় বাস চালালে সেটা অপরাধ।

এদিকে আবরারের বাবার দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বাসচাপার এ ঘটনায় ঘাতক চালক ও হেলপার জড়িত থাকতে পারে।

বুধবার দুপুরে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাসচালকের যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল সেটা হালকা যান চালানোর লাইসেন্স। যা দিয়ে তিনি মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রো, ছোট কাভার্ড ভ্যান চালাতে পারতেন। কিন্তু বাস চালানোর লাইসেন্স তার ছিল না।’

রাজধানীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ। মঙ্গলবার এর মধ্যেই ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বাসচাপায় নিহত হন আবরার। ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চালককে ধরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। জব্দ করা হয় বাসটি।

ঘটনার পর সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে রাজধানীতে ওই বাসের চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গতকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে কেবল হাসপাতালগামী যানবাহনকে ও জরুরি মেডিকেল সেবার কাজে নিয়জিত যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। 

এছাড়া সাইন্সল্যাব, সিটি কলেজ, শুক্রাবাদ, রায়সাহেব বাজার, রামপুরা ব্রিজ, উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেটে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এসব স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ। আন্দোলনে রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানী।  

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এসএস/জেবি)