তুরাগতীরে আরও ১৮৫ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৯, ২০:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তুরাগ নদে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ২০তম দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৮৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। এ ছাড়া উচ্ছেদ স্থাপনার ইট-কাঠ নিলামে বিক্রি করে পাওয়া গেছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। 

আজ বুধবার অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে মিরপুর জহুরাবাদ থেকে পালপাড়া পর্যন্ত তুরাগের উভয় তীরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করেন বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।

বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, আজ একটি  তিনতলা ভবন, ১১টি দোতলা ভবন, ২৩টি একতলাসহ মোট ৩৫টি পাকা ভবন, ৩৮টি আধাপাকা স্থাপনা ও ১১২টি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়।

এ ছাড়া এত দিন দখলদারদের দখলে ছিল এমন দুই একর জায়গা অবমুক্ত হয়েছে বলে জানান যুগ্ম পরিচালক। 

নদীর তীরভূমি দখল করে গড়ে তোলা দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উচ্ছেদকৃত ভবনের ভগ্নাংশ ও কাঠ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, নদীর তীরভূমিতে যেসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল সেগুলো উচ্ছেদের পর রাবিশ নির্মাণসামগ্রী নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আয় হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ( ভ্যাট-আয়করসহ)।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান। সকাল ৯টায় তুরাগ নদীর তীরে মিরপুর বেড়িবাঁধের জহুরাবাদ পালা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক। এরপর ২৫, ২৭ ও ২৮ মার্চ চলবে দ্বিতীয় পর্বের চতুর্থ পর্যায়ের অভিযান।

এদিকে প্রথম পর্বে ১২ কার্যদিবসে মোট ১ হাজার ৭২১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডাব্লিটিএ। এরপর ১২ কার্যদিবসে দ্বিতীয় পর্বের উচ্ছেদ অভিযান হাতে নেয় সংস্থাটি। ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া অভিযানে এখন  পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শেষে পুনরায়  ১২ কার্যদিবসে চলবে তৃতীয় পর্বের অভিযান। 

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ত্রিশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে নদীতে ড্রেজিং করার কথা এর মধ্যে নিশ্চিত করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। নদীর তীরভূমি অংশ সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। এর মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের  কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/কারই/মোআ)