বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে নারী ও প্রতিবন্ধীসহ ৩৪ জনের সাঁতার

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৬

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের (বাংলা চ্যানেল) উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেছে একসঙ্গে ৩৪ জন। তাদের মধ্যে দুই নারী, এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ও ডাকসু’র নবনির্বাচিত এক সদস্যও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ র্মাচ) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করেন তারা।

এ দলে যে দুজন নারী রয়েছেন তারা হলেন মিতু আকতার ও সোহাগী আকতার। মিতু আকতার প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি এর আগে বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতার এ দলে রয়েছেন গত ১৩ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারু লিপটন সরকার। এছাড়া মোহাম্মদ শোয়াইব নামে ৬৯ বছরের এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ এবং সাইফুল ইসলাম রাসেল নামে ডাকসু নবনির্বাচিত এক সদস্যও রয়েছেন।

পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্ব আরোপ করতে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানান, স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করার লক্ষ্যে গত ১৩ বছর ধরে এই আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ ও যুবসমাজকে মানসিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সুস্থ খেলাধুলা এবং অ্যাডভেঞ্চার ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও অফরোড বাংলাদেশ আয়োজনে ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন করপোরেশন ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় এডিবল ওয়েল লিমিটেড এর ব্র্যান্ড ‘ফরচুন’ এ সাঁতার প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। মূলত এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। তার তত্ত্বাবধানেই প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে 'বাংলা চ্যানেল' পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এই আয়োজন হচ্ছে। আস্তে আস্তে এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/জেবি)