বিচারপতির বাসায় ঘুষ দাবি, দুই বছরের কারাদণ্ড এএসআইয়ের

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ১৬:১৯ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯, ১৭:৫২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পাসপোর্টের পুলিশ ভেরেফিকেশনের জন্য বিচারপতির বাসায় গিয়ে ঘুষ চাওয়ায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক সহকারী উপপরিদর্শককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ওই এএসআইয়ের নাম সাদেকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

সাদেকুল ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার চাড়োল গ্রামের মৃত মো. আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাময়িক বরখাস্ত আছেন।

বিচারক আসামিকে দণ্ডবিধির ৪১৯ ধারায় ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় ১ বছর বিনাশ্রমে কারাদণ্ডাদেশ দেন। উভয় দণ্ড পৃথক পৃথক ভাবে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী ফজলুল হক বাবু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দুই মেয়ের পাসপোর্ট ভেরিফিকশনের জন্য তার বাসায় যান আসামি। এরপর বাসায় বিচারপতির স্ত্রী ডাক্তার সাবরিনা মোনাজিলিনের কাছে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ডাক্তার সাবরিনা আসামি সাদেকুলকে চা নাস্তা করার জন্য বকশিস দিতে চাইলে না নিয়ে দুই হাজার টাকা চান।

পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ওই বছরের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার হোসনে আরা আক্তার ধানমন্ডি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তেরর পর ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল ওই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক রহিমা খাতুন। এর পর গত বছর ৮ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটি বিচারকালে আদালত বিচারপতির স্ত্রীসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/ডিএম