অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি আটক মদ ছাড়াতে থানায় মাদক কর্মকর্তা!

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৯ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯, ১৯:৫৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অ্যাম্বুলেন্সে করে ৩৫টি কন্টেইনার ভর্তি হাজার লিটার দেশীয় মদ জব্দ করে পুলিশ। আর সে মদ ছাড়িয়ে নিতে থানায় হাজির মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। তবে জব্দ মদ ছাড়িয়ে নিতে তিনি প্রথমে বিফল হলেও ওয়্যারহাউজ থেকে ইস্যু করা বৈধতার কাগজ দেখানোর পর অ্যাম্বুলেন্স রেখে মদ ফেরত দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মদে ভর্তি ওই অ্যাম্বুলেন্স আটক করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। তার চালক শহিদুল ইসলামকেও আটক করা হয়।

পুলিশ বলছে, দুপুর বারোটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। মুক্তাগাছা শহরে পৌঁছলে এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে সেটি আটক করা হয়।

পরে তল্লাশি করে রোগীর বদলে ভেতরে ৩৫টি প্লাস্টিকের কন্টেইনার পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি কন্টেইনোরে ভরা দেশীয় মদ। পুলিশ চালকসহ অ্যাস্বুলেন্সটি থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক থানায় গিয়ে মদ ভর্তি অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে তদরিরে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। ময়মনসিংহ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে এসব মদ বৈধ দাবী করে মদসহ এম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ প্রাথমিকভাবে তার কথায় আশ্বস্ত হতে পারেনি। তাই অ্যাম্বুলেন্স, মদ এবং চালককে ছেড়ে না দিয়ে আটক করে রাখে। এরপর জব্দ মদের বৈধ কাগজ দেখানোর পর সন্ধ্যার দিকে তা ফেরত দেয় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ থেকে ১ হাজার লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানকার রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি ওই মদের মালিক।

ময়মনসিংহ মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মদ আটকের বিষয়টি শুনে আমরা বৈধ কাগজ নিয়ে থানায় গিয়েছি। ওয়্যারহাউজ থেকে ইস্যু করাটাই বৈধ।’

তবে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন মদ নেওয়া হচ্ছিল জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেন এ মাদক কর্মকর্তা।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ মোল্লা জানান, মাদক নির্মুলে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আটক মদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন বৈধ কাগজ দেখানোতে অ্যাম্বুলেন্স আটক রেখে মদ ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/প্রতিনিধি/ডিএম