শিশুর হাতের চারটি আঙ্গুল কাটা সেই যুবলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪১

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাঁচ বছরের শিশু ইয়ামিন মিয়ার ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে দেওয়া যুবলীগ নেতা আব্দুল অদুদ মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামের জমির আলীর ছেলে অদুদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। হাওররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ২৮নং পিআইসির গত বছরের সভাপতি ছিলেন তিনি।

শিশু ইয়ামিন একই গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে ও সুলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোলেমানপুর বাজারে এসেছিলেন অদুদ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঘটনার পর থেকেই এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন চার্জশিটভুক্ত আসামি অদুদের ছোট ভাই আলম মিয়া।

উপজেলার মহালিয়া হাওরের ময়নাখালি ফসল রক্ষাবাঁধে গত বছরের ২৪ র্মাচ বিকালে গরুর ঘাস কাটতে যায় শিশু ইয়ামিন। নির্মাণাধীন বাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে নিচে পড়ে যায় সে। বাঁধের ড্রেসিং কাজের সামান্য ক্ষতি হওয়ায় পাঁচ বছরের শিশুটির ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন অদুদ মিয়া। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকি’সা নিয়ে সুস্থ হয় শিশুটি।

এ ঘটনায় অদুদ ও তার ভাই আলমের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় মামলা করেন ইয়ামিন মিয়ার বাবা শাহানুর মিয়া।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, `আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শেষে মামলাটির চার্জশিট দাখিল ও দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছি।`

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/প্রতিবেদক/এআর)