সোনারগাঁওয়ে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ২০:৫১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চৈতি কম্পোজিটে লিমিডেটের শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলার সার্কেল এএসপি খোরশেদ আলমসহ অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটনাকে নিহত হিসেবে শ্রমিকদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সোনারগাঁওয়ের টিপুরদি এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিটের রূনা বেগম নামে একজন শ্রমিক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় অসুস্থ শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার সময় শ্রমিকদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে বস্তাবন্দি এক নারী শ্রমিকের লাশ কর্তৃপক্ষ গাড়িতে করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে।  এতে শ্রমিকেরা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বের হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর আগে প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ভাঙচুর করে।’

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার এএসপি (সার্কেল-খ) খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় খোরশেদ আলম ও স্থানীয় দুই সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হন।  আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় অন্তত দুই ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ থাকলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।  ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, ‘রূনা বেগম নামে একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠান আগামী দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অসুস্থ শ্রমিককে চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের ডিআইও-২ সাজ্জাদ রুমন জানান, ‘একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। এতে শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এলএ)