‘ভোটের মাধ্যমে অন্তত হারার অধিকার আছে’

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০১৯, ২২:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভোটারদের ওপর পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচনে স্বাধীনতা প্যানেলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। বলেছেন,  সরাসরি ভোটের মাধ্যমে অন্তত হারার অধিকার আছে তাদের।

আগামী ৬ এপ্রিল বিজিএমইএর ২০১৯-২১ সালের নির্বাচন।ঢাকা ক্লাবে বৃহস্পতিবার সংগঠনটির প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান ও 'তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ` শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায়  ভোটাররা কেন স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীদের ভোট দেবেন- এই প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক ডে‌নিম প্র‌সে‌সিং প্ল্যান্টের মা‌লিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।অনুষ্ঠানে প্যানেলটির প্রার্থীসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচিত হলে বিজিএমইএর জন্য  কি কি করবেন সেগুলোও উল্লেখ করে ১২ দফা নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেন আলম। ইশতেহারে সংগঠনটি জানায়, নির্বাচিত হলে পোশাক শিল্পের হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার এবং দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা দূর করবেন এ প্যানেলের প্রার্থীরা।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ স্বাধীনতা প্যানেলের ১৮ জন নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যরা হলেন- ডিলাক্স অ্যাপারেলসের  দেলোয়ার হোসেন, অ‌লিরা ফ্যাশন‌সের  হুমায়ুন রশিদ জনি,  নর্দান করপোরেশনের রফিক হাসান, এলুরিং ফ্যাশনসের সাইফুল ইসলাম, লিবাস স্টিচের মো. শওকত হোসেন, হানজালা টেক্সটাইলস পার্কের লে. কর্নেল (অব.)খন্দকার ফরিদুল আকবর, ভ্যান হ্যা‌পেন ফ্যাশনের  জাহাঙ্গীর কবির, জেইন অ্যাপা‌রেল‌সের  জাহিদ হাসান, অ্যাপারেলস বাংলা সো‌র্সিংয়ের মো. শ‌রিফুল আলাম  চৌধুরী, এ এস গা‌র্মে‌ন্টেস অ্যান্ড টেক্সটাইল‌সের কাজী আবদুস সোবহান, টপ টেক্স সো‌য়েটারসের জহিরুল ইসলাম, জেট এ অ্যাপারেলসের কাজী মাহয্যা‌বিন মমতাজ,‌ ডি‌কে গ্লোবাল ফ্যাশনসের মাহমুদ হোসাইন,সাউথ ও‌য়েস্ট ক‌ম্পো‌জিটের মো. হো‌সেন সাব্বির মাহমুদ, ও‌য়েমার্ট অ্যাপারেলসের আয়েশা আক্তার, প্রিয়াংকা ফ্যাশনসের ‌মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং গোল্ডেন ডাক অ্যাপারেলসের  ওমর নাজিম হেকমত।তারা সবাই অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেকেই মনে করেন, গার্মেন্টস মালিকরা ভালো আছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ মালিকের নিজেদের বাড়ি-গাড়ি ব্যাংকে মর্টগেজ রাখা আছে। তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেন না।

তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান করে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক বাধার পরও পাঁচ বছর পর বিজিএমইএতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সদস্যরা অন্তত এবার ভোট দিতে পারছেন। যারা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন, তারাও ইশতেহার দিচ্ছেন, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নির্বাচন না হলেতো এ মর্টগেজ শোনাই যেত না। 

তিনি বলেন, ভোটাররা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিন। পছন্দ মত নেতাকে নির্বাচন করুন। জয়-পরাজয় এটা বিষয় না।তারপরও ভোট দিন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, `নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে, এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী।‘

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/জেআর/এআর)