শিগগির চালু হচ্ছে ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৩ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৩

লালমনিরহাট আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বুড়িমারী-ঢাকা রুটে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও জিরো লাইনের রেলপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বৃটিশ আমলের রেলপথগুলোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রেলের অব্যবস্থাপনা দূর করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সব লাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েল গেজ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরেজমিনে পরিদর্শন করছি। আগামী জুলাই মাসে নতুন কোচ ও লোকোমোটিভ পাওয়া যাবে। এসব কোচ ও লোকোমোটিভ পাওয়া গেলে সংকট কেটে যাবে। শিগগির প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তিনবিঘা করিডোর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। লালমনিরহাট-ভারত ট্রেন চালুর বিষয়েও সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যাতে তিন দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দ্রুত ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য পরিবহন করতে পারবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা রেলপথে পণ্য পরিবহন না করায় ওয়াগনগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান- আপনারা পণ্য পরিবহনে রেলপথ ব্যবহার করুন। সড়ক পথের চেয়ে বেশি সুবিধা দেয়া হবে। জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে শিগগির যমুনা সেতুতে পৃথক রেলসেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এটা হলে রেলপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকি থাকবে না।’

ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের রেলপথ ব্রডগেজ। আর বুড়িমারী স্থলবন্দরের রেলপথ মিটারগেজ। আমাদের পথ ব্রডগেজ হলে ভারতের সঙ্গে কথা বলে কানেক্টিভিটি করা হবে বলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশকিছু স্থলবন্দরে কানেক্টিভিটি চালু করা হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা-বাণিজ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে যমুনা সেতুর সংযোগ পর্যন্ত ব্রডগেজ নির্মাণে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই ভারতের সঙ্গে কথা বলে বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমী, রেলের মহাপরিচালক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।

রেলমন্ত্রী দু’দিনের সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে করে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছান। এরপর লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে বিশ্রাম শেষে একটি শাটল ট্রেনে করে বুড়িমারী স্থলবন্দর স্টেশনে আসেন। এরপর বুড়িমারী জিরো লাইন পরিদর্শন করে আবার শার্টল ট্রেনে করে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এলএ)