‘ছেলের শাবলের আঘাতে’ বৃদ্ধ নিহত

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ছেলের শাবলের আঘাতে তায়জুল পাটয়ারী নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ছেলে আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। 

তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন- নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে আনোয়ারের স্ত্রী মুন্নি ও হুমায়ুনের স্ত্রী রেহেনা এবং ভাই মাজু পাটয়ারী।

খবর পেয়ে পুলিশ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।

নিহতের ভগ্নিপতি শুকুর আলী ও পুলিশ জানান, ‘নিহতের দুই ছেলে আনোয়ার ও হুমায়ুন। বহু বছর ধরে তারা প্রবাসে আছেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তারা পিতাকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। গত ৬-৭ মাস আগে আনোয়ার বাড়িতে আসেন। দোকান করার কথা বলে তিনি পিতার কাছে টাকা চান। এই নিয়ে পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব হয়। জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে এলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পিতা-পুত্রের বিতণ্ডা শুনে ভাই মাজু পাটয়ারী এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার পিতা তায়জুল পাটয়ারীর ওপর চড়াও হয়। তখন চাচা মাজু ঠেকাতে এলে তাকে মেরে ঘরে আটকে রেখে পিতা তায়জুলকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে উঠানে নিয়ে আসে আনোয়ার। এরপর হাতে থাকা শাবল দিয়ে পিতাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তায়জুল পাটয়ারী।’

মণিরামপুর থানার এসআই আব্দুর রহমান বলেন, ‘পিতাকে খুন করে ছেলে পালিয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত শাবল ও কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এলএ)