এলাকা ভাগ করে ছিনতাই করতেন তারা

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ছিনতাই চক্রের অনেক সদস্য। তাই প্রত্যেককে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী তারা ছিনতাই করতেন। দিনে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও রাতে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় তারা ছিনতাই করাই ছিল তাদের কাজ।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী সেনাকল্যাণ কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ছয়জনকে আটক করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে ঊনিশটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- চক্রের প্রধান নয়ন ইসলাম বাবু ওরফে মিজান, তার সহযোগী কামরুজ্জামান মিয়া, শরিফুল ইসলাম শরীফ, ইসমাইল হোসেন জনি, রাসেল বেপারী ও জাহাঙ্গীর আলম।

র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, বেড়িবাধ, আশুলিয়া এলাকায় মানুষের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করত। এছাড়া চলন্ত বাস বা ট্রেনের যাত্রীদের টার্গেট করেও দ্রুত সব ছিনিয়ে পালাতেন। ছিনতাই করা মালামাল দলের প্রধান নয়ন বাবু ওরফে মিজানের কাছে জমা রাখতো। পরে মোবাইলগুলো বিভিন্ন সার্ভিসিংয়ের দোকানে বিক্রয় করত। দোকানি দ্রুততার সঙ্গে সেগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিত।’

‘চক্রের প্রধান প্রতিটা সদস্যকে ছিনতাইয়ের জন্য এলাকা ভাগ করে দিতো। দলের অধিকাংশ সদস্য ভেড়ানো হতো অশিক্ষিত ও মাদকাসক্তদের।  বিভিন্ন পেশার পাশাপাশি তারা এই ছিনতাই কাজ করে আসছিল।’ এই চক্রে আরো সদস্য আছে তাদের গ্রেপ্তার র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান সালাউদ্দিন।

ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/ইএস