সড়কহীন সেতুতে দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ০৮:৪৯ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৩

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ

৪০ ফুট দীর্ঘ কংক্রিট সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই গত ১৮ বছর ধরে পরিত্যক্ত। দুপাশে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় লোকজনের কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। ফলে ১৭ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এটি এখন তাদের গলার কাঁটা ও মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের পুরানটেপরী গ্রামের কবরস্থানের পাশে চরনরিনা-নওকৈর ডিগ্রিরচর সড়কে ২০০০ সালে নির্মিত হয় সেতুটি। শাহজাদপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৮ বছর পরিত্যক্ত থাকায় সেতুটির রেলিং ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানের খোয়া-বালু খসে খসে পড়েছে। শেওলা ও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। মূল সেতুটি এখন কাপড় ও গোবর শুকানোর স্থানে পরিণত হয়েছে। এলাকার লোকজন জানান, নরিনা, চরনরিনা, টেপরী, চরটেপরী, বারইটেপরী, পুনারটেপরী, নবীপুর, বওশাগাড়ি, সাতবাড়িয়া, আগনুকালি, জয়রামপুর, চিলাপাড়া, ডিগ্রিরচর, কালিপুর, চরনবীপুর, নওকৈর ও রাজপুর- এ ১৭টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ সংযোগ সড়ক বিহীন সেতুটির কারণে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম, কেয়া খাতুন ও এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আব্দুস সেলিম জানান, চর নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরিনা হাইস্কুল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, সাতবাড়িয়া কারিগরি কলেজ ও  চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চর নরিনা বাজার, নরিনা বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার ও তালগাছি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারাও প্রতিদিন ও সপ্তাহের দুই দিন হাটবারে সমস্যায় পড়ছেন। শুষ্ক মৌসুমে সেতুটির নিচে পানি শুকিয়ে গেলে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে ও অনেক কষ্ট করে নৌকায় পার হতে হয়। এতে খরচ ও সময়ের অপচয় হয়।

অবিলম্বে দুপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও এ সেতুটিকে কার্যকরী করার দাবি জানান।

গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী সেশনে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করে দেওয়া হবে। এতে যদি না হয়, তবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন বলেন, এলাকার লোকজন এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এআর)