ধর্ষণ থেকে তরুণীকে বাঁচালো র‌্যাব

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৬ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২০ বছর বয়সী তরুণী রিতা আক্তার (ছদ্মনাম)। চাকরির সন্ধানে নওগাঁ থেকে আসেন সাভার নবীনগর। শনিবার বিকালে বাইপাইল থেকে নবীনগর যাবার জন্য ওঠেন ‘আশুলিয়া ক্লাসিক’ পরিবহনের একটি বাসে। সন্ধ্যায় বাসটি গন্তব্যে না গিয়ে থামে নির্জন জায়গায়। এসময় বাসের চালক ও সুপারভাইজার তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণীর আত্মচিৎকারে কাছে থাকা র‌্যাবের একটি গোয়ান্দা দল তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বাসের চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাসচালক খলিল মিয়া, সুপারভাইজার মেহেদী হাসান বাবু ও হেলপার রাকিব হোসেন।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার-বিন-কাশেম।

সারোয়ার বলেন, ‘চক্রটি বাস চালানোর পাশাপাশি নারী যাত্রীদের টার্গেট পরে ধর্ষণ করত এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতো। গ্রাম থেকে আসা তরুণীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা বলে তারা বাসে তুলত। পরে নির্জন জায়গায় গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত এবং ভিডিও করে রাখতো। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখাতো। এতে অনেকে লজ্জায় বিষয়গুলো গোপন রাখতো।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘শনিবার একটি তরুণী বাইপাইল থেকে নবীনগর যাবার জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিল। রাস্তা না চেনায় সে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর-মহাখালী রুটের ‘আশুলিয়া ক্লাসিক’ বাসের হেলপারের কাছে সাহায্যে চান। এসময় তরুণী তার ভাইকে ফোন দিয়ে সুপারভাইজারের কাছে ঠিকানা জানিয়ে দেয়। তারপরও বাসটি কৌশলে তরুণীকে আব্দুল্লাহপুর নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছানোর পর সব যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওই তরুণী বাস থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এটা দেখে বাসের সুপারভাইজার জোর করে তরুণীকে বাসে তুলে নেয়। পরে বাসটি রাস্তার পাশে থামিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং কাছে থাকা মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে পাশে থাকা র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে।’

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এসএস/জেবি)