২৫ মার্চের স্বীকৃতি আসেনি কূটনীতিকদের ‘ভুলে’: মোজাম্মেল

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৬:২৯ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ২০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একাত্তরে পঁচিশে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না আসার পেছনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ‘ভুল’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে রবিবার মোজাম্মেল হক এ মন্তব্য করেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।

২০১৫ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। আর বাংলাদেশ একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।

জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দেশের কূটনীতিকরা পঁচিশে মার্চের গণহত্যার প্রেক্ষাপট ‘সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি’ বলে আফসোস করে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো ৯ ডিসেম্বরে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘটনা নেই। আমাদের মুখ্য সুযোগ ছিল ২০১৫ সালে। তখন জাতিসংঘের ভুল সংশোধনের জন্য কূটনীতিকরা সেভাবে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারেন নাই।’

সরকার এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যা বিষয়ে সারা বিশ্বে জনমত গঠনে কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক তোলেন, তাদের সতর্ক করে দিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত সত্যকে যারা বিতর্কিত করতে চায় রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।’

‘তারা এখন শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শহীদের সংখ্যাকে বিতর্কিত করতে চায়। তারা কি এখন এক দুই করে শহীদের সংখ্যা গোণেন?’

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ সরকার গড়িমসি করছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্ন উঠতে পারে, আওয়ামী লীগ কি করেছে? তারা ক্ষমতায় ছিল ৩০ বছর। তাদের শেকড় অনেক ভেতরে। তবে আমরা জনমত গঠন করতে পারলে কাজটি আমাদের জন্য সহজ হবে।’

বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর ইতিহাস নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, স্কুল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামূলক করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূস বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শহীদকন্যা নুজহাত চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বীরপ্রতীক ওয়াকার হাসান, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, কবি আসাদ মান্নান প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য দেন।

ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/ডিএম