এবার ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের জরিমানা পরিশোধে যাওয়া লাগবে না ট্রাফিক কার্যালয়ে। প্রসিকিউশনের সময় ঘটনাস্থলেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে নিরাপদ নেটওয়ার্কিংয়ে পরিশোধ করা যাবে জরিমানার টাকা। ভবিষ্যতে এমন সুবিধা দিতে গ্রামীনফোনের ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পদ্ধতির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে  সংস্থাটির সঙ্গে গ্রামীনফোনের ভিপিএন কানেকটিং এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে এতে স্বাক্ষর করেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও গ্রামীনফোনের পক্ষে উপ-পরিচালক  হেড অব কর্পোরেট বিজনেস নাছার ইউসুফ।

নাগরিক সেবায় ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, `দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভালো নাগরিক সেবা দেওয়ার উদাহরণ ঢাকা মহানগর পুলিশে তৈরি হয়েছে। এটাকে অনুকরণ করে পুলিশের অন্যান্য ইউনিট নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে। যা একটি ভালো দিক। ট্রাফিক পিওএস মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, দুর্নীতিও কমেছে।`

`সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজড হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণকে বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। ভালো সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য।  এই বিড়ম্বনা রোধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পিওএস মেশিনগুলো ভিপিএনের নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।‘

তিনি বলেন, বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্য স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্য স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধে বিকাশ কর্তৃপক্ষকেও এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা প্রদান সহজ হবে। প্রয়োজন হবে না কোনো কাগজ আটকে রাখারও।‘

নাগরিক সেবা সহজতর করতে ভালো আইডিয়া ও সার্ভিস দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশকে সহযোগিতা করারও আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।

গ্রামীনফোনের ডিডি নাছার ইউসুফ বলেন, এই ভিপিএন পদ্ধতির ফলে জনভোগান্তি অনেক হ্রাস পাবে। ২০১৬ সাল থেকে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে গ্রামীনফোন কাজ করছে। ইন্টারনেটের পরিবর্তে ইন্ট্রানেট সিস্টেমই এই ভিপিএন। সিকিউর কানেকশনের জন্য ভিপিএন জরুরি। ট্রাফিক প্রসিকিউশনে অনেকে অন দ্য স্পট জরিমানা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকেন। সেক্ষেত্রে কার্ড সুইফ করে ভিপিএনের মাধ্যমে নিরাপদে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের ৩০০টি সিম ভিপিএনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে জনকল্যাণে এ রকম সিকিউরিটি সিস্টেমে গ্রামীনফোন কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি ও গ্রামীনফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪ মার্চ/এএ/এআর)