বিএসএমএমইউয়ে চালু হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ব্লাড ক্যানসার রোগীদের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। এর ফলে  অটোলোগাস ও অ্যালোজেনিক পদ্ধতিতে বিএমটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে।

রবিবার সকালে বি ব্লকের ডা. মিল্টন হলে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

বিএমটি-এর অটোলোগাস চিকিৎসায় দেশের বাইরে প্রায় ২০ লাখ টাকা ও অ্যালোজেনিক চিকিৎসায় ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা ব্যয় হয়। সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরের ফলে বিএসএমএমইউয়ে আগামী তিনমাস পর নিয়মিতভাবে অটোলোগাস ও ছয়মাস পর অ্যালোজেনিক পদ্ধতির বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চালু করা হবে।

এখানে চিকিৎসা ব্যয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে নিয়মিত বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চালু হলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। শিক্ষা বিনিময় ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা স্মারক বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণার প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল আলম, রেজিস্ট্রার এ বি এম আব্দুল হান্নান এবং টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের পরিচালক (একাডেমিকস) অধ্যাপক এস. বানাভালি ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক সুমীত গুজরাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্যানসার রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসায় বিএমটি অত্যন্ত জরুরি। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় বিএসএমএমইউয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে এটি চালু হবে। ফলে রোগীরা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের মতো অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ীমূল্যে পাবেন এবং অনেক রোগী অকালে মৃত্যুবরণ থেকে রক্ষা পাবেন। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর ৮৮ লাখ (৮.৮ মিলিয়ন) মানুষ ক্যানসারে মারা যান।  এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ শতাংশ হলো রক্তরোগের ক্যানসার। প্রতি বছর নতুন করে রক্তরোগের বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে প্রায় এক হাজার ২০০ রোগী চিহ্নিত করা  হয়।  এসব রোগীর অধিকাংশেরই বিএমটির প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাটি দেশে সহজলভ্য ও নিয়মিতভাবে চালু না থাকায় অনেক রোগীই অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। অনেক রোগী বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ায় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল আজিজ। বিভাগটির কার্যক্রম তুলে ধরেন সহযোগী অধ্যাপক সালাহউদ্দীন শাহ। উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক গাজী শামীম হাসান, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ ও পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  এ কে মাহবুবুল হক।

(ঢাকাটাইমস/২৪ মার্চ/এএ/এআর)