এএসপি মিজান হত্যায় দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৮
এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদার- ফাইল ছবি

হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম খান এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটের দুই আসামি হলেন ছিনতাইকারী ফারুক হাওলাদার এবং শাহ আলম ওরফে আলম ওরফে বুড্ডা। অপর দুই ছিনতাইকারী মো. জাকির হোসেন ও আয়নাল হক ওরফে এনামুল হক ওরফে মিন্টু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর কামাল নামে আরেক ছিনতাইকারীর পুরো নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাকেও অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

আজ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া চার্জশিটটি আমলে নিয়ে পলাতক আসামি ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং আগামী ২৫ এপ্রিল তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন।

আসামি শাহ আলম ওরফে বুড্ডা বর্তমানে কারাগারে আছেন। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

চার্জশিটে রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।

চার্জশিটে অভিযোগ, ২০১৭ সালের ২১ জুন আসামিরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেট কারে যাত্রীবেশে বসে ছিল। এএসপি মিজানুর রহমান এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইকারীরা মিজানুরকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে ওঠার পর আসামি ফারুক বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। তখন ফারুক গাড়ি থেকে নেমে যায় কিন্তু পরক্ষণেই আবার গাড়িতে উঠে। চালকের আসনে ছিল জাকির। শাহ আলম সামনে বসা ছিল। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে যায়। জসীমউদদীন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা আরো দুজন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ দিয়ে বিরুলিয়া ব্রিজের পাশে ঘন গাছপালায় মিজানুরকে ফেলে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :