‘বখাটে কাট’: ওসির আদেশ তুললেন ইউএনও

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৫ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উঠতি কিশোর-তরুণদের চুলে ‘বখাটে কাট’ নিয়ে ওসির নিয়ম বহির্ভূত জরিমানার আদেশ তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

গত ৭ মার্চ ভূঞাপুর উপজেলায় ‘বখাটে স্টাইলে’ চুল, দাঁড়ি-গোফ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শীল সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয় বখাটে স্টাইলে চুল-দাঁড়ি কাটলে নাপিতকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

ওসির এই নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর জরিমানার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমন নিষেধাজ্ঞা সরকারি বিধিমালায় না থাকায় শুরু হয় সমালোচনা।

পরে নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। জরিমানার আদেশ তুলে নেয়া হলেও কথিত বখাটে স্টাইলে নাপিতদের চুল না কাটার নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল বলেন, ‘বখাটে স্টাইলে চুল কাটা নিষেধাজ্ঞার খবর প্রচার হওয়ার পর ইউএনও আমাদের ডেকে নেন। ইউএনওর কথায় সেটি প্রত্যাহার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘নির্দেশনায় যে ৪০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছিল, সেটি থাকছে না। কিন্তু শীলরা এখন থেকে বখাটে স্টাইলে কারও চুল কাটবেন না।’

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় অভিভাবক এবং শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বখাটে স্টাইলে চুল কাটা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। পরে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শীল সমিতি একটি নোটিশ লিখে আনেন, তাতে আমি স্বাক্ষর করি। ফলে সেটি সরকারি আদেশ হিসেবে কার্যকর হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ হলে বিতর্ক দেখা দেয়। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সেই আদেশ তুলে নেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, ‘সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ঝড় তুলে চুলের স্টাইল নিয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনা।’

‘এ রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা সরকারি বিধিমালায় না থাকায় সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস/ডিএম