প্রধানমন্ত্রিত্ব শেষের পথে মের?

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫৩ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৯:০৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেকে পদত্যাগ করার জন্য তীব্র চাপ সৃষ্টি করছেন তারই মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য। এতে মনে হচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

তার উপস্থাপিত ব্রেক্সিট চুক্তি এর আগে দু’বার পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে হেরে গেছে। তৃতীয়বারের মতো এটিকে পার্লামেন্ট এনে আবার পাস করানোর চেষ্টা করবেন তিনি- এ অবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়ছে।

এমন কি তার মন্ত্রীসভার সিনিয়র সদস্যরাও এখন তার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আপত্তি গোপন করতে পারছেন না। অবশ্য টেরিজা মে যদি এই বিরোধিতাকে আমলে না নেন এবং তার পদ আঁকড়ে থাকেন তাহলে এই অসন্তুষ্ট মন্ত্রী-এমপিরা কি করবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কিছু এমপি বলছেন, তারা হয়ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও টেরিজা মের ব্রেক্সিট চুক্তিটি তৃতীয়বার ভোটে উঠলে তাকে সমর্থন দিতে পারেন। কিন্তু তার শর্ত হবে এই যে, ইইউর সঙ্গে আগামী আলোচনায় তিনি আর ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন না।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, মের ওপর তীব্র চাপ তৈরি হচ্ছে এবং মন্ত্রিসভা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে। অবশ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বলছেন, মেকে সরিয়ে দেয়াটা ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা ভাঙতে পারবে না।

কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে এক গভীর বিভেদ তৈরি হয়েছে, এবং কিভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে পারে তা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কিছুতেই একমত হতে পারছেন না। তাই টেরিজা মে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েও দেন, তা হলেও যুক্তরাজ্যে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে তার মৌলিক কোন পরিবর্তন হবে না। এরই মধ্যে ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরেকটি গণভোট নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ব্রিটিশরা।

ঢাকা টাইমস/২৫মার্চ/একে