অভিজিৎ হত্যা মামলা যাচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৫ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলা বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে পাঠনোর নির্দেশ দিয়েছে সিএমএম আদালত।

সোমবার সিএমএম আদালতের ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী এই আদেশ দেন।

অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম গত ১৩ মার্চ নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও মো. আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে সাহাব। জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন। অপর আসামিদের মধ্যে সায়মন, সোহেল ও আরাফাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে ১৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা হলেন, সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ, মাইনুল হাসান শামীম, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মকুল রানা, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।

এদের মধ্যে প্রথম সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়, মান্না ইয়াহিয়া ও আবুল বাশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায়, বন্দুকযুদ্ধে মকুল রানা নিহত এবং অপর পাঁচ আসামির নামঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে দুর্বৃত্তরা অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হামলায় আহত হয় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ ওরফে বন্যা। দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং বন্যা চিকিৎসক ছিলেন।

ঘটনার পরদিন অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/আরজে/এমআর