মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। আজ সকালে উপজেলার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জনি তালুকদার (২৫) মঠবাড়িয়ার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন।

৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ। জনি তালুকদার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের সমর্থক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে জনি বাড়ির সামনের মাঠে গরু নিয়ে যান। এ সময় হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জুনায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। বরিশালে নেওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনি মারা যান।

জনির চাচা হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদার অভিযোগ করেন, একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমকে গত শনিবার রাতে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওই মামলায় জনি এজাহারভুক্ত আসামি। রিয়াজুল আলমের ওপর হামলার জের ধরে ইউপি সদস্য জুনায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত লোক জনির ওপর হামলা করে।

মেম্বর জুনায়েদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। রিয়াজুল আলমের ওপর হামলা ঘটনায় স্থানীয় থানায় দায়ের করা মামলার বাদী আমি। এ কারণে আমাকে এ হত্যাকান্ডে জড়ানোর চেষ্টা চলছে।’

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানান ওসি।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :