তুরাগে ৫৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, এক একর জায়গা উদ্ধার

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৯, ২০:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তুরাগ নদে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ২২তম দিনে তীরভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৫৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে দখলদারদের দখলে থাকা নদের এক একর জায়গা।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, দ্বিতীয় পর্বের অভিযানের চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম দিনের অভিযান পরিচালিত হয় সোমবার। সারাদিনে মিরপুর থানার ছোট দিয়াবাড়ি ও সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৫৬টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদের এক একর জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- একটি চারতলা, চারটি তিনতলা, সাতটি দোতলা, ১৩টি একতলাসহ মোট ২৫টি পাকা ভবন এবং আটটি আধা পাকা স্থাপনা ও ২৩টি টিনের ঘর।

চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনের অভিযান পরিচালিত হবে বুধবার ২৭ মার্চ। সেদিন মিরপুর বেরিবাঁধের সিন্নিরটেক এলাকা থেকে তুরাগ নদের উভয় পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

এর আগে প্রথম পর্বে ১২ কার্যদিবসে মোট এক হাজার ৭২১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ। এরপর ১২ কার্যদিবসে দ্বিতীয় পর্বের উচ্ছেদ অভিযান হাতে নেয় সংস্থাটি। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শেষে ফের ১২ কার্যদিবসে চলবে তৃতীয় পর্বের অভিযান।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপন এবং নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে নদীতে ড্রেজিং করা হবে। নদী তীরভূমি অংশ সংরক্ষণ করে ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গায় পরিণত করতে ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নদীপাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/কারই/এআর)