পুতিনের বিতর্কিত ‘কিশোর বাহিনী’

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কিশোর বাহিনী’র সদস্য সংখ্যা দশ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলবে। রাশিয়ায় এই বাহিনীতে অনাথ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগ করে মেশিন গান চালানো ও প্যারাশুট করে অবতরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রাশিয়ায় এবং আন্তর্জাতিক মহলে পুতিন বিরোধীরা মনে করাচ্ছেন, নাৎসি জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলারেরও ‘কিশোর বাহিনী’ ছিল। সোভিয়েত যুগেও অনাথ কিশোর-কিশোরীদের সেনা বাহিনী অথবা কেজিবিতে নিয়োগ করা হত। এই ধরনের বাহিনী গঠন ‘অনৈতিক’। যদিও পুতিন প্রশাসনের দাবি, পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ফলে দেশে সামরিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে।

রাশিয়ায় ‘কিশোর বাহিনী’ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। বর্তমানে ওই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা তিন লক্ষ তিপ্পান্ন হাজার। প্রশাসন সূত্রের খবর, লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে ‘কিশোর বাহিনী’র সদস্য সংখ্যা দশ লক্ষ করা হবে। ঘটনাচক্রে, রাশিয়ার পদস্থ সামরিক অফিসার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ সম্প্রতি বলতে শুরু করেছিলেন, দেশের শিশু-কিশোরেরা ‘মেশিন গানকে ভয় পায়’। এমনকি, কী ভাবে গ্রেনেড ছুড়তে হয়, তাও জানে না।

রাশিয়ায় শিশু বিষয়ক বিতর্কিত অম্বুডসমান আনা কুজ়নেৎশোভা অবশ্য ‘কিশোর বাহিনী’তে অনাথ কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ওই কিশোর-কিশোরীদের হয়ে প্রতিবাদেরও কোনও সুযোগ নেই। কারণ, তারা সরাসরি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।

শিক্ষামন্ত্রী ওলগা ভাসিলিয়েভার মতে, ‘দেশকে বিভিন্ন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা জরুরি। শান্তিকামীরা কবিতা এবং ছবি আঁকার ব্রাশ দিয়ে মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে পারবে না।’ সূত্র: আনন্দবাজার

ঢাকা টাইমস/২৬মার্চ/একে