মুক্তিযোদ্ধাদের হাতের ছাপ সংবলিত ‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’র মোড়ক উন্মোচন

কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখতে তাদের দুই হাতের ছাপ সংবলিত ‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপরে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ অতিথিরা।

জেলার জীবিত দুই হাজার ৭৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননাপত্র প্রদান এবং তাদের দুই হাতের ছাপ সংবলিত ‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি রফিউল আলম, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু, সদর ইউএনও আমিন আল পারভেজ, পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বাতেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম প্রমুখ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতি ধরে রাখতে জেলা প্রশাসন দুই হাজার ৭৩০ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও তথ্য সংবলিত ‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’র উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় বেঁচে যাওয়া ৩৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে ডকুমেন্টরিটি চারটি ভলিউমে তাদের সামনে উন্মোচন করা হয়। বাকি আট উপজেলার তথ্য সংগ্রহ শেষ। এখন চলছে হাতের ছাপ নেয়ার কাজ।

‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’ বইয়ের ব্যতিক্রমধর্মী প্রচ্ছদ এবং সম্মাননাপত্রের ডিজাইন করেন পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, ‘জেলার নয় উপজেলায় জীবিত মোট মুক্তিযোদ্ধা দুই হাজার ৭৩০ জন। সদর উপজেলার বাইরে অপর আট উপজেলায় একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে একই ধরনের বাঁধাই করা সম্মাননাপত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম থেকেই শুরু করা হলো। মুক্তিযোদ্ধাদের দুই হাতের ছাপ সংবলিত ‘বীরগাঁথা ডকুমেন্টরি’ একদিন ইতিহাসে স্থান করে নেবে বলে আমার বিশ্বাস। সবার সহযোগিতা পেলে অল্প সময়ের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এলএ)