পর্তুগালে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৮

রনি মোহাম্মদ, পর্তুগাল

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় পর্তুগাল দূতাবাসে এক ‘শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মরণসভা’-র আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা।

বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সূচনা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

গণহত্যা দিবসের অলোচনা শুরুর আগে গণহত্যার ওপর নির্মিত ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অংশ নিতে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানান।’

প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ দিবসটি সম্পর্কে পর্তুগিজদের অবহিত করার মাধ্যমে দিবসটি ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য সারাবিশ্বে জনমত গড়ে তুলতে আহবান জানান।

আলোচনা শেষে ২৫ মার্চের কালরাতে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে গণহত্যায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সবশেষে, এক মিনিটের জন্য সকল আলো নিভিয়ে ‘নিষ্প্রদীপ কর্মসূচি’ পালন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এলএ)