গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে সহোদরসহ তিন তরুণ গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় হোসনেয়ারা বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সহোদরসহ তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় এদের কাছ থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উদ্ধার মালামালের মধ্যে রয়েছে, দুটি স্বর্ণের রুলি, একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল এক জোড়া এবং হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু ও একটি বটি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোবাড়িয়া গ্রামের বাবুল শেখের দুই ছেলে রিয়াজ শেখ ও রিয়াদ শেখ এবং একই গ্রামের ইউনুস তালুকদারের ছেলে মিরাজুল ইসলাম পাপন। এদের পরিবার প্রায় একযুগ আগে জীবিকার তাগিদে মোরেলগঞ্জ থেকে বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। এরা পেশায় রাজমিন্ত্রী ও অটোরিকশা চালক।

বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

গৃহবধূ হোসনেয়ারা বেগম গ্রেপ্তার তরুণদের চিনে ফেলায় তারা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

গত ২১ মার্চ রাতে শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় হোসনেয়ারা বেগমকে গলাকেটে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।

ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ফরিদ বাদী হয়ে মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

নিহত হোসনেয়ারা বেগম বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের স্ত্রী।

পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই তিন তরুণ মিলে গৃহবধূ হোসনেয়ারা বেগমের বাড়িতে পরিকল্পনা করে তার বাড়িতে চুরি করতে আসে। ওই বাড়িতে আসার পর গৃহবধূ হোসনেয়ারা বেগম তাদের চিনে ফেলায় প্রথমে তাকে আঘাত করে। পরে তারা তাদের কাছে থাকা চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে ঘরের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।’

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এলএ)