কাতারে চাকরির প্রলোভনে প্রতারণার বড় ফাঁদ
বিডিজবসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাতারভিত্তিক বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। দীর্ঘ চার বছরে এক হাজারের বেশি মানুষ তাদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে। চক্রটি কাতারের স্বনামধন্য ডেল্টা গ্রুপ, আলী বিন গ্রুপ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ বড় বড় কোম্পানির কর্তৃপক্ষ পরিচয় দিয়ে এই কাজ করছিল।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। তারা হলেন- শামিম হায়দার, হাসান, তাইজুল ইসলাম, শ্যামল।
বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব সরকার। তিনি বলেন, ‘এরা আসলে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। বিডিজবসে কাতারের বড় বড় কোম্পানিতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিতো। যেখানে স্টোর ম্যানেজার, কমার্শিয়াল ম্যানেজারসহ বড় বড় পদ উল্লেখ করা হতো। বিজ্ঞাপনে একটা লিংক দেওয়া থাকতে যেখানে চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করত। লোভনীয় বেতন ও সপরিবারে কাতার যাওয়ার অফারে বিডিজবসসের মাধ্যমে অনেকে আবেদন করত। পরে ইমেইলে তাদের জানাতো হতো কোম্পানির কর্মকর্তারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আবেদনকারীকে কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হতো। সেখানে কল করলে ইংলিশ, হিন্দি ও বাংলা মিশ্রিত ভাষা ব্যবহার করে ফোন কেটে দিতো। পরবর্তী সময়ে আবেদনকারীকে সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ছবি পাঠাতে বলা হতো এবং কাতার দূতাবাসের বিকাশ নাম্বারে ৭৫০ টাকা থেকে দশ হাজার টাকা পাঠাতে বলতো।’
‘পরে মেইল ইমেইলে অফার লেটার, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও হোটেল বুকিং বাবদ বিকাশ ও রকেট নম্বরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নম্বরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতো। বেশির ভাগ সময় একেকজনের কাছ থেকে তিন লাখ করে তারা হাতিয়ে নিয়েছে।’
ডিসি বিপ্লব সরকার বলেন, ‘এই চক্রকে বিডিজবসের বেশ কিছু কর্মকর্তা সাহায্য করত। তাদের নাম পুলিশ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতনদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসএস/জেবি)