গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েও বহাল তবিয়তে শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৯:৪২

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লায়েছুর রহমান। পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়ালেও সবাই যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।

২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরী বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে জড়িয়ে একই ইউনিয়নের লম্বাহাটি গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আবদুল মান্নানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন লায়েছ। এমনকি তারই ছাত্র মাহবুব ও তাহেরসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর তার হামলার ঘটনা শিক্ষকতা পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এই ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় আহত আব্দুল মন্নান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন৷ যার মামলা নম্বর-১৪৭ ৷

জানা যায়, ঘটনার কয়েকদিন পর বিদ্যালয় থেকে চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে দুই মাস দশ দিন পালিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর জামিন নিতে যান লায়েছ ও তার ভাই জুবের ও লুৎফুর। সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নজরুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ এক মাস পরে তারা জামিনে ছাড়া পান৷ এরপর থেকে শিক্ষক লায়েছ নিয়মিত আদালত হাজিরা না দেয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। বর্তমানে লায়েছ পলাতক থাকলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছেন৷

গত ৬ মার্চ আদালত পলাতক শিক্ষক লায়েছুর রহমানের ওপর ফৌ.কা.বি ৭৫ ধারা অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। বিদ্যালয় এবং থানার দূরত্ব মাইলের ভেতরে হলেও লায়েছ গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি, উচ্চমহলের তদবিরে লায়েছ গ্রেপ্তার হচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে।

বাদীর বড়ভাই লন্ডন প্রবাসী জাহেদ আহমেদ ঢাকাটাইমস বলেন, তার পরিবার উল্টো আতঙ্কে আছে। নানা দিক থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। তিনি জানান, একদিকে তিনি যেমন চিন্তিত নিজে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে

তেমনি তাদের এলাকার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা ভীষণ উদ্বিগ্ন, একজন আইন অমান্যকারী এবং সন্ত্রাসী শিক্ষক তাদের ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করাচ্ছে।

শিক্ষক লায়েছকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.কে. এম ফজলুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে তো আমাদের এখানেই থাকবে। আমি বিষয়টি দেখছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :