স্কুলছাত্র হত্যায় সহপাঠীর ১৩ বছরের আটকাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৯, ২১:১৭ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০১৯, ২১:১৪

পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু হত্যা মামলায় তার সহপাঠী ফয়সাল জামান শুভকে ১৩ বছরের আটকাদেশ ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে নয় মাসের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত ফয়সাল জামান শুভ (১৭) পাবনা শহরের রাধানগর মাঠপাড়া মহল্লার শেখ কামাল হোসেনের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত শামসুজ্জামান সিয়াম (১৬) পাবনা পৌর শহরের রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার সাইদুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, স্কুল শিক্ষার্থী মিশু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে ফয়সাল ও সিয়াম অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচার করা হয়। অভিযুক্ত অপর দুই আসামি আব্দুল হাদি ও সান প্রাপ্তবয়স্ক। নিয়মিত আদালতে তাদের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান খান জানান, মিশু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল জামান শুভর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের আটকাদেশ ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং অন্য একটি ধারায় আরও তিন বছরের আটকাদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও নয় মাসের আটকাদেশ দেন। যশোর কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে এ আটকাদেশ কার্যকর করা হবে।

মামলার অপর আসামি শামসুজ্জামান সিয়ামের অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দেন।

তবে, মামলার রায়ে বাদী মহসিন আলম সন্তুষ্ট না হওয়ায় উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পাবনা পৌর সদরের শালগাড়ীয়া কসাইপাড়া মহল্লার মহসীন আলম সালামের ছেলে হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। ওইদিন সন্ধ্যায় পাবনার সিংগা এলাকার একটি লিচু বাগানের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মিশুর পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর দুদিন পর ২৫ মার্চ ভোরে মিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার সহপাঠী ফয়সাল জামান শুভ ও শামসুজ্জামান সিয়াম এবং আব্দুল হাদিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দুই সহপাঠী জানায়, মিশুকে আটকে রেখে তার বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা আদায় করতে চেয়েছিল শুভ ও সিয়াম। কিন্তু মিশু তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের পাইপ পেঁচিয়ে চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় মিশুর। অবস্থা বেগতিক দেখে মিশুর মরদেহ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে লিচু বাগানে ফেলে পালিয়ে যায় সিয়াম ও শুভ। পরে তারা পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের কাছে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম। মামলার শুনানিতে নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিন বছর শুনানি শেষে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে রায় দেন বিচারক।

আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আব্দুল মতিন মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি শাহজাহান আলী খান ও সালমা খাতুন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :