ঢাকায় বিকল্প শক্তি এবং গৃহ-সরঞ্জামাদির মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৭

কাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সেইফ এইচ ভি এ সি আর ও পানি ব্যবস্থ্যাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পণ্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ‘সেইফ কন ২০১৯’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শন চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

প্রদর্শনীতে ১৪ টি দেশের মোট ১২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৪০ টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।

প্রদর্শনীতে দশর্নার্থী, ব্যবসায়ী এবং খাত সংশ্লিষ্টরা আসছেন। তারা বিদেশে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের খোঁজ নিচ্ছেন । পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শিত পণ্য কিনে ব্যবসার করার জন্য যোগাযোগও সেরে ফেলছেন কেউ কেউ।

প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে ওয়াটার লিংক বাংলাদেশ, বিবিএস কেবল, বিআরবি ক্যাবলস, বিআরবি হাসপাতাল লিমিটেড সহ বেশ কিছু নামীদামি প্রতিষ্ঠান। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মানসম্মত নির্মান সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিবিএস কেবল, বিআরবি ক্যাবলস এবং স্টিল তৈরিকারণ প্রতিষ্ঠানের প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ দেখা গেছে।

এছাড়া ওয়াটার ট্রিটিমেন্ট প্লান্ট নিয়ে কাজ করা দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়াটার লিংক বাংলাদেশ তাদের পণ্য প্রদর্শনের মধ্য নিয়ে দর্শনার্থীদের আগ্রহের জায়গা অর্জন করে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী ইউ সুই চিং মারমা জানান, তারা চার ধরনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নিয়ে কাজ করে তারা। যার মধ্যে অর্ধশতাধিক পণ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীর শুরু থেকেই আমরা দর্শনার্থীদের সারা পাচ্ছি। এধরনের প্রদর্শনীর নিয়মিত আয়োজন করা যেতে পারে।’

প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দেশে উৎপাদন হচ্ছে না এমন অনেক পণ্য প্রর্দর্শিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনীতে আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তারা বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরমধ্যে কোন দেশ থেকে কোনো কোনো পণ্যটি বাংলাদেশে আসে, কোন পণ্য দেশে উৎপাদন হচ্ছে না এবং ঐ সকল পণ্যের গুণগত মান কিভাবে নিরুপণ করা যায়।

প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন নীলিমা মান্নান। তিনি বলেন, ‘দেশীয় বাজারে এখনো অনেক জিনিস নেই। আমরা অনেক কিছুর জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল। তাই প্রদর্শনীটি দেখতে এসেছি।’

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি তাদের স্টলে প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য। এছাড়া জ্বালানি ট্যাঙ্ক উৎপাদনকারী ওমানের প্রতিষ্ঠান ‘রোবুষ্ট’ প্রদর্শন করেছে বেশ কয়েক ধরনের জ্বালানি ট্যাঙ্ক।

‘জিং জায়াং ইয়ং রং হার্ডওয়ার ফ্যাক্টেরি’ প্রদর্শন করে এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। যা দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো উৎপাদন করতে পারছে না। একই ধরনের পন্য প্রদর্শন করতে দেখা গেছে চায়না ও থাইল্যান্ডের আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে।

প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছিল সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। সোলার প্রদর্শনীতে এগিয়ে ছিল চায়নার ‘তাইসাইন সোলার’ ও একই দেশের ‘লিনডো পাওয়ার গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’। আবাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন আকারের শিল্প কারখানার জন্য ব্যবহার করা যাবে এমন বেশ কিছু সোলার প্রদর্শন করেছে। যা এখনো দেশীয় বাজারে এখনো অপ্রতুল।

প্রদর্শনীতে রঙ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বাসা ও অফিসের সবুজ দেয়াল সজ্জা সামগ্রী, নকল দেয়াল, ফ্রিজ সহ নানা ধরনের পণ্য ।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/কারই/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :