বৃষ্টির নম্বর থেকে ফোন, লাশ পেলেন স্বজনরা

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০১৯, ২১:১১ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ২১:৫১

যশোর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যশোরের মেয়ে শেখ জারিন তাসনিম বৃষ্টি। রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা। অবশেষে রাত ১২টায় বৃষ্টির মোবাইলের সিম খুলে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর ফোনে লাশের সন্ধান পান তারা।

স্বামীর সঙ্গে ঢাকার খিলক্ষেতে থাকতেন বৃষ্টি। ওই ভবনের ১২ তলায় ইউরো সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগে চাকরি করতেন তিনি।

আগুন লাগার পর বৃষ্টি তার স্বামী কাজী শাদ নূরকে মোবাইলে ফোন ঘটনা জানান। স্বামী তাকে ছাদে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন বৃষ্টি বলেন, ‘ধোঁয়ায় কোন দিকে যাওয়া যাচ্ছে না।’

এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান স্বামী শাদ।

বৃষ্টির দেবর কাজী নিপুন জানান, ‘অব্যাহত চেষ্টার পর রাত ১২টায় বৃষ্টির ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী ওই ফোনে তার মৃত্যু খবর জানান। আরএফ টাওয়ারের ১৮ তলার সিঁড়িতে মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানান উদ্ধারকারী দলের ওই কর্মী। আগুনের তাপে ও ধোঁয়ার তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা তাদের।’

কাজী নিপুন আরও জানান, ‘আগুনে নষ্ট হয়ে যাওয়া বৃষ্টির মোবাইল সেট থেকে সিম খুলে নিজের সেটে ঢুকিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মী ফোন দিয়েছিলেন।’

শুক্রবার বৃষ্টির লাশ গ্রামের বাড়ি পৌছালে দেখা যায়, তার মা নিনা ইসলাম আহাজারি করছেন।

দুপুর ২টায় বৃষ্টির মরদেহ যশোরে এসে পৌঁছে। শহরের চৌরাস্তা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। বিকালে আসরের নামাজের পর বেজপাড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে তার দাফন হয় বৃষ্টির।

বৃষ্টির বাবার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া বনানি সড়কে। বাবার শেখ মুজাহিদুল ইসলাম মোটরপার্টস ব্যবসায়ী। শ্বশুরবাড়ি শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায়। শ্বশুর কাজী ইরাদ আলী।

স্বামী কাজী শাদ নূর ঢাকার খিলক্ষেতে হোটেল রিজেন্সিতে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন। মাত্র তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ তাদের বিয়ে হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এলএ)