শনির বলয়ে পাঁচ উপগ্রহের সন্ধান

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০১৯, ১৩:২০

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শনির মাটিতে হারিয়ে যাওয়ার পরও তথ্য দিল ক্যাসিনি। শনি গ্রহের বলয়ের কাছে রয়েছে আরও পাঁচটি ক্ষুদ্র চাঁদ বা উপগ্রহ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ‘‌সায়েন্স’‌ পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০১৭ সালে শনির সব থেকে কাছ দিয়ে ফ্লাই বাই–এর সময় বলয়ের কাছে থাকা ওই ছোট্ট চাঁদগুলোর ছবি তুলেছিল নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি।

তথ্য বলছে ওই ছোট্ট চাঁদগুলো শনিবলয়ের একদম কাছে রয়েছে। চাঁদগুলোর ব্যাস আট থেকে ১১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। কোনওটার গোলাকার, কোনওটা উড়ন্ত চাকির মতো তো কোন টা আবার আলুর আকারের। 

বিজ্ঞানীরা শনির নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলির নাম দিয়েছেন প্যান, ডাফনিস, অ্যাটলাস, প্যান্ডোরা এবং প্রোমিথিউস। তার মধ্যে প্যান এবং ডাফনিস শনির খুব কাছে রয়েছে। ফলে শনির বলয়ের কণাগুলোতে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয় এই দুটি চাঁদ। বাকি তিনটি চাঁদ কিছুটা দূরে থাকায় বলয়ের কণার দ্বারা প্রভাবিত হলেও শনির অন্যতম বড় চাঁদ এনসেলেডাসের থেকে নির্গত বাষ্প এবং বরফকণার স্তরও পড়ে যাচ্ছে সেগুলির উপর।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ক্ষুদ্র চাঁদগুলো প্রচন্ডভাবে ফাঁপা। সেকারণেই শনির বলয় থেকে কণা এগুলোর মধ্যে সহজে ঢুকে পড়তে পারছে। ক্যাসিনির ভিসিবল অ্যান্ড ইনফ্রারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার বা ভিআইএমএস–এর পাঠানো ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বলয়ের কাছাকাছি থাকা চাঁদগুলোর রং, বলয়ের মতোনই লালচে। সেভাবে এখনও জানা  না গেলেও তাঁদের অনুমান, অরগ্যানিক এবং লোহার সংমিশ্রণেই ওই লালচে রং দেখা যাচ্ছে। অথচ বলয়ের বাইরের চাঁদগুলোর রং ইনসেলেডাসের মতোই নীলচে রঙের।

বলয় এবং গ্রহের মধ্যে থাকা ফাঁক এবং এই চাঁদগুলো দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা বিপুলায়তনের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে শনির ধাক্কার ফলে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার ফলেই বলয় এবং এই ক্ষুদ্র পাঁচটি চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এজেড)