নিরসন হচ্ছে ঢাবির সলিমুল্লাহ হলের আবাসন সংকট

ঢাবি প্রতিনিধি
| আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:২৮ | প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসন সংকট নিরসনে অবশেষে উদ্যোগ নিয়েছে হল প্রশাসন। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা সমাধানে নতুন করে একটি টিনসেট ভবন তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছেন ডাকসুর নেতারা।

এছাড়া রবিবার সন্ধ্যায় হলের প্রাধ্যক্ষসহ কেন্দ্রীয় সংসদ নেতারা হলের প্রত্যেক রুমে রুমে গিয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাহাসান আহমেদ রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস।

প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার পাশে থাকলে আশা করি সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করতে সক্ষম হব’।

রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে হলের বারান্দায় নিজেদের থাকার জায়গা পানিতে ভেসে গেলে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। আবাসিক ও অনাবাসিক প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পুরো হল প্রদক্ষিণ করেন।

বিক্ষোভের মিনিট দশেক পরে হল শাখা ছাত্র সংসদের ভিপি এম এম কামাল উদ্দিন ও জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদারসহ হল সংসদের সকল নেতারা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত হন এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নুরুল হক নুরু, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসাইনকে জানান।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষসহ ডাকসুর নেতারা হলে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে সমস্যা জানতে চাইলে তারা তিনটি দাবির কথা জানান। প্রথমত এসএম হলকে পূর্নাঙ্গ আবাসিক হলে রূপান্তর, দ্বিতীয়ত বারান্দা সমস্যার সমাধান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেয়া।

তাদের দাবির ভিত্তিতে হলের সকল সাবেক শিক্ষার্থীদের (যাদের স্নাতকত্তোর শেষ হয়েছে) বের করে দিয়ে নিয়মিত ছাত্রদের হলের কক্ষে সিট বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং প্রত্যেক রুমে রুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আসনের ব্যবস্থা করা হয়।

ভিপি নুরুল হক নুরু দাবি জানান, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিকভাবে সিট দিতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে বহিরাগতমুক্ত করতে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

জিএস গোলাম রাব্বানী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই হলের বারান্দায় প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। তাদের সমস্যা সমাধানে আমরা আপাতত একটা টিনসেট ভবন নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া আমরা উপস্থিত থেকে রবিবার প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন কক্ষে সিট বরাদ্দ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, আশা করছি আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও হল অ্যালুমনাই হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে একটি দশতলা ভবন করা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক (ছাত্রলীগ), তারা হলে কখনও অবৈধভাবে থাকতে পারে না বলেও জানান।

ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :