সন্তান হত্যার দায়ে মা ও প্রেমিকের ফাঁসি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামে ১১ বছরের শিশু সোয়াইবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মা সিতারা বেগম ও তার প্রেমিক বারিক মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সিতারা বেগম চিতুলিয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও বারিক মিয়া আলকাছ আলীর ছেলে।
আসামি বারিক আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক সিতারা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলাটির তিনজন আসামির মধ্যে অন্যজন সাবুল কিশোর হওয়ায় তার বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সিতারা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করছেন। এ সুযোগে তিনি বারিকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর মাকে প্রেমিক বারিকের সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলে সিতারার ছেলে সোয়াইবুর। ওইদিন সন্ধ্যায় খাওয়ানোর প্রলোভনে গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসার কাছে নিয়ে শিশু সোয়াইবুরকে মা ও মায়ের প্রেমিক বারিক গলা টিপে হত্যা করে মাদ্রাসার টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেন। স্বজনেরা সোয়াইবুরকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে মাদ্রাসার টয়লেটের ট্যাঙ্কিতে তার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন ১৫ অক্টোবর নিহতের চাচাতো ভাই সোয়াইবুরের মা সিতারা বেগম, প্রেমিক বারিক ও কিশোর সাবুলকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলাটি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ ছইল মিয়া ও জিয়াউল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন।
(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)