করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একইসঙ্গে সংগঠনটি সবক্ষেত্রে করপোরেট করহার অন্ততপক্ষে ৫ শতাংশ হারে কমানোর সুপারিশ করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বাজেট আলোচনায় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওসামা তাসীর বলেন, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। অথচ এই সময়ে মোট মূল্যস্ফীতি ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি নিট সম্পদের মূল্য পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত শূন্য সারচার্জ এবং পাঁচ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেন। এর পাশাপাশি তিনি করজাল সম্প্রসারণ ও করপোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ করের পরিবের্ত ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।
ডিসিসিআই আগামী বাজেটে প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখা এবং বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার উর্ধ্ব থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্যাকেজ ভ্যাট প্রদানের সীমা হিসেবে নির্ধারণের প্রস্তাব করে।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট হবে সেটি ব্যবসাবন্ধব হবে। যাতে উৎপাদন ও শিল্পায়নের গতি বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীরা যেন কোন অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি না হন। তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে, সেখানে এমন উদ্যোগ থাকবে যাতে ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি ঘটে।
মঙ্গলবার ডিসিসিআই ও বিসিআই ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, লিজিং ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/জেবি)