যুবলীগের আহ্বায়কসহ ৭০ জনের নামে মামলা

ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত কনস্টেবলের মৃত্যু

আজহারুল হক, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩৯

চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনপূর্ব সহিংসতায় আহত পুলিশ কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেন মারা গেছেন।

আজ বুধবার সকাল ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যবসায়িক কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের রায়ের বাজারে ২৮ মার্চ সতন্ত্র প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপ তার নির্বাচনী প্রচারণায় যান। নৌকা সমর্থরা ওই সময় প্রচারণায় বাধা দিলে উভয় পক্ষ বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা চালান নৌকার সমর্থকরা। ওই সময় প্রার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে ছিলেন পথচারী পুলিশ কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেন। গুরুতর আহত কনস্টেবলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকালে তিনি মারা যান।

নিহত কনস্টেবল পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার মহিশরন গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি সিলেট কারাগারে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছোট ভাই বরকতউল্লাহ সুজন বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০ থেকে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঘটনার দিন রাতেই একটি মামলা করেন।

আঠারবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব চৌধুরী বলেন, ঘটনার দিন রাতেই অভিযোগ পেয়ে দুজনকে আটক করা হয়। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যাবসায়িক কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপ মঙ্গলবার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবুল খায়েরসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরোও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গত রবিবার (৩১ মার্চ) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (নৌকা) মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন বিজয়ী হন। রাতে ফল ঘোষণার পর নৌকার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যবসায়িক কার্যালয়, উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবন, বিএনপির কার্যালয়সহ বেশ কটি জায়গায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবীর জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আতাউর রহমান ও সুজন নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :